সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আটি হাউজিংয়ে কোটি কোটি টাকার বানিজ্য করছে একটি মহল। একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট হাউজিংয়ের বাসিন্দাদের জিম্মি করে ইট,বালি, রড, সিমেন্টসহ ইত্যাদি নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা এবং হাউজিং এলাকায় কেউ যদি প্লট বেচাকেনা করে তাহলে দুই পক্ষকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ টাকা প্রদান করতে হবে। জানা যায়, হাউজিং এলাকায় ১ হাজারেরও বেশী ৫ তলা ১০ তলা বিল্ডিং রয়েছে। হাউজিং এলাকায় প্লট ক্রয়কারীদের বাড়ী তৈরি করতে প্রয়োজনীয় যেসব মালামাল লাগবে সেসব মালামাল নিতে বাধ্য করছে একটি প্রভাবশালী ও ভূমিদস্যু মহল। মালামাল নিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি সহ মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় প্লট ক্রেতা এবং বিক্রেতা দুই পক্ষকে বাধ্যতামূলক দিতে হবে ১ লক্ষ টাকা। চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছেনা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাউজিংয়ের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, আমার গ্রামের বাড়ী বরিশাল। আমি হাউজিংয়ে ৩ কাঠার একটি প্লট ক্রয় করি। কিছু সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এসে বলে বাড়ীর যত মালামাল লাগবে সব তাদের থেকে নিতে হবে, তা না হলে বাড়ী করতে দেওয়া হবেনা বলে হুমকি প্রদান করে। অসহায়ের মত তাদের কাছ থেকে বাধ্য হয়ে ১ টাকার মাল ৫ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে এবং প্লট ক্রয়েরা সময় ৫০ হাজার টাকা হাউজিং উন্নয়ন প্রকল্পের কথা বলে নিচ্ছে। ৫০ হাজার টাকা ভাউচার চাইলে চাঁদাবাজ চক্রটি কোনো ধরনের ভাউচার দেয় না। কুমিল্লার আরেক বাসিন্দা বলেন, হাউজিং কমিটি হওয়ার পরপর এলাকায় আর থাকার কোনো পরিবেশ নাই। অলিতে গলিতে মাদক বেচাকেনা চলছে। মেয়েদের প্রতিনিয়ত বখাটেরা ইভটিজিং করছে। হত্যা, চুরি, ছিনতাইও বেড়েছে। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। প্রতিবাদ করলে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করছে। হাউজিং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইতিমধ্যে কয়েকবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মামলাও দায়ের হয়েছে। সূত্রে আরও জানা যায়, হাউজিংয়ে আগের কমিটি থাকাকালীন সময় এলাকার মানুষ কিছুটা শান্তিতে ছিলো। গত কয়েকমাস আগে হাউজিংয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠন করার পর থেকেই এলাকার পরিবেশ একবারই নষ্ট হয়ে গেছে। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বাড়ীর মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে। হাউজিং এলাকার এক প্রভাবশালী ও ভূমিদস্যু একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট একটি বাহিনী গড়ে তুলে হাউজিংয়ে একক আধিপত্য বিস্তার করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় চিটাগাংরোড ফুটপাত থেকেও প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। হাউজিংয়ে চক্রটির বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।